রাব্বি আহমেদ, বরগুনা প্রতিনিধিঃ মৃতদের স্বজনরা জানায়, মা শিমু আক্তার ও নানি দুলু বেগম লামিয়া ও সামিয়াকে নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের দাদার বাড়ি বরগুনায় বেড়াতে আসছিলেন। বাবা রফিক অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার আসা হয় নি। বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট থেকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে ওঠেন তারা বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকত যমজ দুই বোন শিশু লামিয়া ও সামিয়া।

নানি আর মায়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনার তালতলী দাদার বাড়িতে বেড়াতে আসছিল তারা। দুই বোন বাড়িতে এলো ঠিকই, তবে কফিন হয়ে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের আগুনে মৃত্যু হয় তাদের।

শনিবার সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে চার বছর বয়সী লামিয়া ও সামিয়ার মরদেহ শনাক্ত করেছে স্বজনরা। মামার কাছে তাদের লাশ হস্তান্তর করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সামিয়া ও লামিয়া বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া গ্রামের রফিক হোসেনের মেয়ে। মৃতদের স্বজনরা জানায়, মা শিমু আক্তার ও নানি দুলু বেগম লামিয়া ও সামিয়াকে নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের দাদার বাড়ি বরগুনায় বেড়াতে আসছিলেন।

বাবা রফিক অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার আসা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট থেকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে ওঠেন তারা। বরগুনাগামী লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সামিয়া ও লামিয়া।

তাদের নানি দুলু বেগম গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মা শিমু আক্তার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বাবা রফিক স্ত্রীকে খুঁজতে বরিশালে আছেন।

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে। মৃত ব্যক্তিদের ৩৭ জনই বরগুনার। স্বজনদের কাছে এখন পর্যন্ত সাতটি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।